Search This Blog

Wednesday, December 28, 2016

পাকা পেঁপের দানায় সর্বরোগ মুক্তি

 পেঁপের দানাও আর ফেলবেন না।


এখন থেকে পেঁপের দানাও আর ফেলবেন না। কারণ, পাকা পেঁপের মতো তার দানাও কিন্তু বহু গুণের অধিকারী। লিভার, কিডনি থেকে গর্ভনিরোধক-- কী নয়! প্রতিদিন এক চামচ পেপে দানার গুঁড়াই যথেষ্ট। জেনে নিন এর গুণাগুণ হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে: হজমশক্তি বাড়াতে পেঁপের তুলনা নেই। পরিপাক নালিকে চনমনে রাখে। যার ফলে দ্রুত হজম হয়। পাকিস্থলির উপর কম চাপ পড়ে। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে: পেঁপের মধ্যে ক্যানসার বিরোধী ধর্ম রয়েছে। ফলে ক্যানসারকে দূরে রাখতে নিয়মিত পেঁপে খেতে হবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেঁপেতে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট আইসোথিয়োসায়ানেট, যা স্তন, প্রস্টেট, ফুসফুস ও কোলন ক্যানসারের হাত থেকে বাঁচায়। লিভার পরিষ্কার করে: পেঁপের মধ্যে যে ডিটক্সের গুণ রয়েছে, তা কমবেশি সবারই জানা। লিভারের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, বা না-ভুগলেও যাঁরা চান লিভার ভালো থাকুক, পাকা পেঁপে খেয়ে যান। ফ্যাটি লিভারে পাকা পেপের দানা খেতে হবে: বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফ্যাটি লিভার বা লিভার সিরোসিসে যারা ভুগছেন, তাদের জন্য পাকা পেঁপের দানা খুব ভালো ওষুধ। প্রতিদিন এক চামচ করে পেঁপে দানার গুঁড়া খান। লিভারকে ডিটক্সিফাই করবে। এর পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ায় ও লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। ভালো ফল পেতে সবচেয়ে আগে ড্রিংক করা বন্ধ করতে হবে। ফিট রাখে কিডনি: লিভারের মতো কিডনি থেকেও ক্ষতিকারক জিনিস বের করে দেয় পাকা পেঁপের দানা। রক্তের চাপ কমায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পাকা পেঁপের পাশাপাশি পেঁপের দানাও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পেঁপেতে থাকা কারপেইন নামে বিশেষ এক যৌগ উচ্চ রক্তচাপও কমায়। ফলে যারা হাইপ্রেসারে ভুগছেন, বেশি করে পেঁপে খান। গাঁটের যন্ত্রণা, হাঁপানি, আর্থরাইটিস: এসব অসুখেও পেঁপে খুব উপকারী। বিশেষত, পেঁপে গাছের ডাল। এর মধ্যে থাকা বিশেষ উৎসেচকের উপস্থিতি আর্থরাইটিস, গাঁটের যন্ত্রণার পাশাপাশি হাঁপানিতে ভালো কাজ দেয়। প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধকও: প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধক হিসেবে ভারতীয় সংস্কৃতিতে পাকা পেঁপের দানার ব্যবহার বহুল প্রচলিত। গর্ভবতী হতে চাইলে, সেসেময় পেঁপের দানা খাওয়া যাবে না। আবার পুরুষদেরও স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয়। ফলে, কোন পুরুষেরই যৌবনকালে খুব বেশি একটানা পেঁপে দানা খাওয়া অনুচিত।

চিকিৎসক নারী হলে বাড়বে আয়ু!

নারীরা চিকিৎসা করলে রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা কমে যায়।


নারী চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা করালে হলে আয়ু বাড়বে। এমনটাই জানালেন বিশ্ববিখ্যাত হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাদের মতে, বয়স্ক রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর দেখা গিয়েছে নারীরা চিকিৎসা করলে এসব রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা কমে যায়। সেই সঙ্গে হাসপাতাল থেকে ফিরে যাওয়ার পর আবার তাদের হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনাও কমে যায়।

জামা ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিনে এই গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদের মতে, পুরুষ এবং নারীদের চিকিৎসার ধরণই এই তফাৎ গড়ে দেয়। গবেষক দলের প্রধান উইসুকে সুগাওয়া বলেছেন, ‘‌মরণ হার নিয়ে এই পরীক্ষার ফল আমাদের অবাক করেছে। চিকিৎসক পুরুষ না নারী রোগীর ক্ষেত্রে তারও প্রভাব পড়ে। ’‌

নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এমন ৬৫ বা তার বেশী বয়সী দশ লক্ষ রোগীর ওপর এই পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নারি চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসাধীন ৪ শতাংশ রোগীর ৩০ দিনের মধ্যে মৃত্যু হওয়ার ঘটনা কমেছে। আর ৫ শতাংশ রোগীকে নতুন করে ভর্তি করতে হয়নি।