Search This Blog

Saturday, December 31, 2016

ঘরোয়া উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ কমান

রক্তচাপকে সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়।


আজকাল প্রায় বেশিরভাগ বাড়িতেই হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন কেউ না কেউ। রক্ত সঞ্চালনের জন্য হৃৎপিণ্ড যখন ধমনীতে অতিরিক্ত চাপ দেয়, সেটিই হল উচ্চ রক্তচাপ। এর ফলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। রক্তচাপকে সাইলেন্ট কিলারও বলা হয়। অনেকক্ষেত্রেই রোগী বুঝতে পারেন না তিনি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। সঠিক সময় ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুও ঘটতে পারে। কীভাবে প্রাকৃতিক উপায় মোকাবিলা করবেন এই সমস্যার, তা নিয়ে রইল কয়েকটি টিপস্।

প্রথমেই বলে রাখা ভালো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে লবণ খাওয়া কমাতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কিন্তু বিপদ ডেকে আনে।

রসুন: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রসুনের ভূমিকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এক টুকরো রসুন কোয়া খেলে আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর ফলে রক্তচাপও স্বাভাবিক থাকে।

গাজর: হাই ব্লাডপ্রেশার কমাতে চাইলে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন গাজর। গাজরের রস করে খেতে পারেন। আরও ভালো ফল চাইলে পালং শাকের সঙ্গে গাজরের মিশ্রণ বানিয়ে খেতে পারেন।

পেঁয়াজ ও মধু: রূপচর্চার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সমান কার্যকরী পেঁয়াজ ও মধু। এক চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে ২ চা চামচ মধু মেশান। নিয়মিত মিশ্রণটি খান। উপকার পাবেন।

ঘরোয়া উপায়ে এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

সূত্র: এনাদুইন্ডিয়া







শরীরের জন্য ছালসহ মুরগির উপকারিতা বেশি!

ছালসমেত রান্না করা মুরগি রসনাতৃপ্তিতেও তুলনাহীন


ছালসহ মুরগি খাওয়ার কথা উঠলে সরে যাওয়ার মানুষের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু এত ঘৃণা নিয়ে ফেলে দিচ্ছেন যে জিনিসটি, সেটির পুষ্টি গুণাগুণ কিন্তু অনেক বেশি।

জেনে রাখুন, শরীরের জন্য উপকারী মুরগির ছাল। একথা সত্যি যে, মুরগির ছালেই জমে থাকে প্রচুর ফ্যাট। তবে ছালে জমে থাকা ফ্যাটের অনেকটাই অসম্পৃক্ত চর্বি, যা শরীরের পক্ষে উপকারী।

হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথের রিপোর্ট অনুযায়ী, মুরগির ছালেই লুকিয়ে অসম্পৃক্ত চর্বির ভাণ্ডার। কোলেস্টেরল কমানো কিংবা ব্লাড প্রেশার লেভেল স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে অসম্পৃক্ত এই চর্বির। হার্ট সুস্থ রাখতেও উপযোগী অসম্পৃক্ত চর্বি। মুরগির ছালে থাকে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। সঠিক পরিমাণে শরীরে গেলে যা বহু রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে।

সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, এক আউন্স বা ২৮.২৫ গ্রাম চিকেন ছালে মাত্র ৩ গ্রাম সম্পৃক্ত চর্বি থাকে যা ফ্যাট বাড়ায়, তুলনায় অসম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ প্রায় ৮ গ্রাম, যা দেহের পক্ষে উপকারী।

তবে ছালসহ মুরগি খেলেও তা মেপে খাওয়া জরুরি। ছালসমেত রান্না করা মুরগি রসনাতৃপ্তিতেও তুলনাহীন। ছালসহ মুরগি কিভাবে রান্না হবে, সেই বিষয়েও নজর দেওয়া দরকার। ঝাল-মশলা মাখিয়ে, ডোবা তেলে ভেজে রান্না করা চিকেন থেকে কিন্তু মোটেই মিলবে না কোনও খাদ্যগুণ।

Wednesday, December 28, 2016

পাকা পেঁপের দানায় সর্বরোগ মুক্তি

 পেঁপের দানাও আর ফেলবেন না।


এখন থেকে পেঁপের দানাও আর ফেলবেন না। কারণ, পাকা পেঁপের মতো তার দানাও কিন্তু বহু গুণের অধিকারী। লিভার, কিডনি থেকে গর্ভনিরোধক-- কী নয়! প্রতিদিন এক চামচ পেপে দানার গুঁড়াই যথেষ্ট। জেনে নিন এর গুণাগুণ হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে: হজমশক্তি বাড়াতে পেঁপের তুলনা নেই। পরিপাক নালিকে চনমনে রাখে। যার ফলে দ্রুত হজম হয়। পাকিস্থলির উপর কম চাপ পড়ে। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে: পেঁপের মধ্যে ক্যানসার বিরোধী ধর্ম রয়েছে। ফলে ক্যানসারকে দূরে রাখতে নিয়মিত পেঁপে খেতে হবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেঁপেতে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট আইসোথিয়োসায়ানেট, যা স্তন, প্রস্টেট, ফুসফুস ও কোলন ক্যানসারের হাত থেকে বাঁচায়। লিভার পরিষ্কার করে: পেঁপের মধ্যে যে ডিটক্সের গুণ রয়েছে, তা কমবেশি সবারই জানা। লিভারের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, বা না-ভুগলেও যাঁরা চান লিভার ভালো থাকুক, পাকা পেঁপে খেয়ে যান। ফ্যাটি লিভারে পাকা পেপের দানা খেতে হবে: বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফ্যাটি লিভার বা লিভার সিরোসিসে যারা ভুগছেন, তাদের জন্য পাকা পেঁপের দানা খুব ভালো ওষুধ। প্রতিদিন এক চামচ করে পেঁপে দানার গুঁড়া খান। লিভারকে ডিটক্সিফাই করবে। এর পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ায় ও লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। ভালো ফল পেতে সবচেয়ে আগে ড্রিংক করা বন্ধ করতে হবে। ফিট রাখে কিডনি: লিভারের মতো কিডনি থেকেও ক্ষতিকারক জিনিস বের করে দেয় পাকা পেঁপের দানা। রক্তের চাপ কমায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পাকা পেঁপের পাশাপাশি পেঁপের দানাও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পেঁপেতে থাকা কারপেইন নামে বিশেষ এক যৌগ উচ্চ রক্তচাপও কমায়। ফলে যারা হাইপ্রেসারে ভুগছেন, বেশি করে পেঁপে খান। গাঁটের যন্ত্রণা, হাঁপানি, আর্থরাইটিস: এসব অসুখেও পেঁপে খুব উপকারী। বিশেষত, পেঁপে গাছের ডাল। এর মধ্যে থাকা বিশেষ উৎসেচকের উপস্থিতি আর্থরাইটিস, গাঁটের যন্ত্রণার পাশাপাশি হাঁপানিতে ভালো কাজ দেয়। প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধকও: প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধক হিসেবে ভারতীয় সংস্কৃতিতে পাকা পেঁপের দানার ব্যবহার বহুল প্রচলিত। গর্ভবতী হতে চাইলে, সেসেময় পেঁপের দানা খাওয়া যাবে না। আবার পুরুষদেরও স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দেয়। ফলে, কোন পুরুষেরই যৌবনকালে খুব বেশি একটানা পেঁপে দানা খাওয়া অনুচিত।

চিকিৎসক নারী হলে বাড়বে আয়ু!

নারীরা চিকিৎসা করলে রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা কমে যায়।


নারী চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা করালে হলে আয়ু বাড়বে। এমনটাই জানালেন বিশ্ববিখ্যাত হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাদের মতে, বয়স্ক রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর দেখা গিয়েছে নারীরা চিকিৎসা করলে এসব রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা কমে যায়। সেই সঙ্গে হাসপাতাল থেকে ফিরে যাওয়ার পর আবার তাদের হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনাও কমে যায়।

জামা ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিনে এই গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদের মতে, পুরুষ এবং নারীদের চিকিৎসার ধরণই এই তফাৎ গড়ে দেয়। গবেষক দলের প্রধান উইসুকে সুগাওয়া বলেছেন, ‘‌মরণ হার নিয়ে এই পরীক্ষার ফল আমাদের অবাক করেছে। চিকিৎসক পুরুষ না নারী রোগীর ক্ষেত্রে তারও প্রভাব পড়ে। ’‌

নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এমন ৬৫ বা তার বেশী বয়সী দশ লক্ষ রোগীর ওপর এই পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নারি চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসাধীন ৪ শতাংশ রোগীর ৩০ দিনের মধ্যে মৃত্যু হওয়ার ঘটনা কমেছে। আর ৫ শতাংশ রোগীকে নতুন করে ভর্তি করতে হয়নি।

Tuesday, December 27, 2016

এনজিওগ্রাম কি এবং কেন?

এনজিওগ্রাম রক্তনালির একটি পরীক্ষার নাম ও চিকিৎসাপদ্ধতি





এনজিওগ্রাম রক্তনালির একটি পরীক্ষার নাম ও চিকিৎসাপদ্ধতি। এই পরীক্ষাটি এক ধরনের পরীক্ষার মতো। যার সাহায্যে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালির, মস্তিষ্কের রক্তনালি, কিডনির রক্তনালি ও হাত-পায়ের রক্তনালি দেখা যায়। যেভাবে এই পরীক্ষা করা হয় সেই পদ্ধতিকে এনজিওগ্রাফি বলে এবং পরীক্ষার পর যেটি বের হয় তাকে বলে এনজিওগ্রাম। হৃৎপিণ্ডের রক্তনালির সমস্যা দেখার জন্য যে এনজিওগ্রাম করা হয় তাকে করনারি এনজিওগ্রাম বলা হয়। হৃৎপিণ্ডের একটি রোগ আছে, সেই রোগটির নাম করনারি আর্টারি ডিজিস বা ইসকেমিক হার্ট ডিজিস। কোনো কারণে যদি করনারি আর্টারির ভিতর চর্বি জমে হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশির অক্সিজেন ও নিউট্রিশন সরবরাহে ব্যাহত করে, তখন বুকে ব্যথা হতে পারে। এসব রোগীর অবশ্যই করনারি এনজিওগ্রাম করা উচিত। যদি করনারি আর্টারিতে চর্বি জমে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়, তবে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হবে। সঙ্গে সঙ্গে বমি হতে পারে। ঘাম হতে পারে ও বুক ধড়ফড় করতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এই রোগকে তখন বলে থাকে। হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশি যদি করনারি আর্টারিতে চর্বি জমার জন্য অক্সিজেন ও নিউট্রিশন না পায় তখন হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশি শুকিয়ে যায় এবং হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশি তখন চঁসঢ় করতে পারে না। ফলে শ্বাসকষ্ট হয়ে মৃত্যুও হতে পারে। সুতরাং Acute Myocardial Infarction হওয়ার আগে এনজিওগ্রাম করাটা বাঞ্ছনীয়। হৃদরোগ নির্ণয়ের জন্য ECG, Echo Cardiogram, ETT, 24 Hours Holter Monitor, Stress Echo-Cardiography, Thallium Scan অন্যতম। তবে আধুনিকতম চিকিৎসা পদ্ধতি হলে Coronary Angiogram (CAG) অনেক সময় ECG, Echo-Cardiography, ETT, Stress Echo-Cardiogram করে করনারি আর্টারি ডিজিস নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে করনারি এনজিওগ্রাম বা CAG করে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়। Echo Cardiogram করে হৃৎপিপণ্ডের মাংসপেশির রোগ এবং হৃৎপিণ্ডের কপাটিকার রোগ নির্ণয় করা যায়। হৃৎপিণ্ডের সব রোগের জন্যই এনজিওগ্রাম করা দরকার নেই। শুধু করনারি আর্টারি ডিজিস বা Ischaemic Heart Disease এর জন্য করা যেতে পারে ও চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে।   অনেক রোগী এনজিওগ্রাম করতে ভয় পান। এনজিওগ্রাম বুক কেটে বা বড় কোনো অপারেশন করে করা হয় না। ডান কুঁচকির একটা রক্তনালি আছে তার নাম ফেমরাল আর্টারি। লোকাল Anesthesia ব্যবহার করে Injection-এর একটি Needle দিয়ে ফেমরাল আর্টারিতে প্রবেশ করে, একটি ক্যাথেটার-এর মাধ্যমে সরাসরি হৃৎপিণ্ডের করনারি আর্টারি দেখা যায়।

MAGIC PRODUCTS FOR MAN

 EFFECTIVE MALE EXTENDER FOR LIFE
















Millions of women are unhappy with their Life partners due to their short male organ.To overcome the situation a lot of mail products are available in the market but  a new revolutionary product that is step ahead any other male products you have seen so far.The product is known to all is"Size Genetics"

The men's health market is truly massive, with at least 1 million related searches every single month, and its growing all the time. The  has now subsided, as customers look for a solution that really works

The SizeGenetics™ device is a big earner as it’s one of the most well known penis extenders available in the market today, which more and more people are relying upon to give them the sex life of their dreams! It’s no gimmick; SizeGenetics™ is a very real medical type 1 device.
YOUR LINK IS HERE TO GET THE SAME===>>>http://adf.ly/1a4lmk

LOOSE YOUR WEIGHT BY TAKING GREEN TEAS



Weight Loss Green Tea For Your Good Health



Green tea is the fastest growing segment in the overall tea industry on account of its health benefit properties, and the worldwide obesity problem along with increased health consciousness amongest  consumers are major factors in the continuing global market growth for  green tea.

Kou Tea is a brand new weight loss tea from RDK Global, the company behind the bestselling Phen375 diet pills.

With record numbers of the population overweight it’s estimated that by 2017 the world’s overweight population will exceed 1.5 billion, further propelling the demand for green tea for years to come.In fact, being long linked with weight loss, the green tea market is predicted to see more than a 10% growth over the next 5 years. The potential for affiliates choosing to promote within this niche is clear.

KouTea is a unique blend of four high quality teas carefully selected for their links to a variety of health benefits and produced by the company behind the globally successful Phen375. Used alongside an existing slimming product, as an alternative to pill based supplements, or drunk simply to compliment a healthy lifestyle.

You May Collect The Same By Clicking The Link ===>>>http://adf.ly/1a5NPS 






Saturday, December 24, 2016

বাইরে হাঁটবেন নাকি ট্রেডমিলে?



জকাল অনেকেই ঘরের ভেতরে হাঁটা-দৌড়ানোর যন্ত্র বা ট্রেডমিল কিনে ব্যায়াম করে থাকেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, ঘরে ট্রেডমিলে হাঁটা ভালো, নাকি ঘরেরবাইরে? এর উত্তরটা ঠিক স্পষ্ট নয়। কেননা ক্যালরি খরচ, মাংসপেশিরব্যবহার এবং হৃৎস্পন্দন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের হার—সবই প্রায় সমান হতে পারে। তবে সামান্য কিছু পার্থক্যও আছে:
* ট্রেডমিলে হাঁটলে বা দৌড়ালে কোমর বা ঊরুর মাংসপেশির চেয়ে বেশি কাজ করে পায়ের কোয়াড্রিসেপস মাংসপেশি। সাধারণ হাঁটা বা দৌড়ে এই পার্থক্য নেই। তাই ট্রেডমিলে হাঁটার সময় এই বিশেষ ভারসাম্য শিখে নিতে হয়, নয়তো আঘাতের ঝুঁকি থাকে।
* বাইরে হাঁটার সময় আমাদের বাতাসের গতির বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়। পথে বা রাস্তায় বাঁক থাকে, পথ মসৃণ বা অমসৃণ থাকতে পারে, পায়ের নিচে বালু, ইট, পাথর এড়িয়ে যেতে হয়। এই সবকিছু মিলে গবেষকেরা বলেন, বাইরে হাঁটলে শরীর, স্নায়ুতন্ত্র, ইন্দ্রিয় যতটা তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে, ট্রেডমিলে তা সম্ভব নয়।
* বাইরে, বিশেষ করে পার্কে হাঁটলে প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়া যায়, যা মনের স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম। এ ছাড়া শরীরে সূর্যের আলো লাগে, যা থেকে আমরা ভিটামিন ডি পাই। চোখের সামনে উদ্দেশ্য বা সমাপ্তি রেখা থাকে, যা মনকে উদ্বুদ্ধ করে।
* আধুনিক ট্রেডমিলে হৃৎস্পন্দন, দৌড়ের গতি বা ক্যালরি ক্ষয়ের হিসাব প্রতি মুহূর্তে পাওয়া যায়। এতে আপনি লক্ষ্যে পৌঁছেছেন কি না জানতে পারেন। যাঁরা দৌড়বিদ, তাঁরা ট্রেডমিলে চর্চা করলে নিজের গতি মাপতে পারবেন।
* আবহাওয়া খারাপ থাকলে বাইরের চেয়ে ট্রেডমিলই ভালো। যাঁদের বাইরে হাঁটার জায়গা নেই বা সুযোগ সেই, তাঁরা এই যন্ত্রের ওপর হাঁটতে পারেন।
তবে মোট কথা হলো, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট ব্যায়াম বা হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। বাইরেই হোক, কি ঘরের ভেতর, এইটুকু সম্পন্ন রার চেষ্টা কখনোই ছাড়বেন না l




If you have jQuery scripts or plugins on your page we recommend you to insert Website

আঙুর রাখুন শিশুর নাগালের বাইরে



অক্ষত আঙুর শ্বাসরোধ করে শিশুর মৃত্যু ঘটায়। চিকিৎসকেরা এ ব্যাপারে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মা–বাবা ও অভিভাবকদের সতর্ক ও সচেতন হতে বলেছেন। এ নিয়ে প্রভাবশালী চিকিৎসা সাময়িকী ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজি) ২০ ডিসেম্বর একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী অক্ষত আঙুর শ্বাসরোধ করে শিশুর মৃত্যু ঘটায়। চিকিৎসকেরা এ ব্যাপারে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মা–বাবা ও অভিভাবকদের সতর্ক ও সচেতন হতে বলেছেন। এ নিয়ে প্রভাবশালী চিকিৎসা সাময়িকী ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল (বিএমজি) ২০ ডিসেম্বর একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।


ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী অনেক শিশুর শ্বাসনালিতে খাবার বা ছোট বস্তু ঢুকে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায়। ১৯৯৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ২ হাজার ১০৩টি শিশুর মৃত্যু হয়। এদের অধিকাংশের বয়স ছিল তিন বছরের নিচে। গলায় খাবার বা অন্য কিছু আটকে মৃত্যুঝুঁকি এদের বেশি।
‘দ্য চোকিং হ্যাজার্ড অব গ্রেপস: এ প্লিয়া ফর অ্যাওয়ারনেস’ শিরোনামের প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এই বয়সের শিশুদের দাঁত অপুষ্ট থাকে, দাঁতে শক্তি কম থাকে। তারা খাদ্য ভালো চিবাতে পারে না। এদের খাবার গ্রহণ ও শ্বাস নেওয়াতে সঠিক সমন্বয় হয় না। এরা অনেক ক্ষেত্রে পুরো ঢোঁক গিলতে পারে না। খাওয়ার সময় এরা অমনোযোগী থাকে। ফলে খাবার শ্বাসনালিতে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, নিবন্ধটি সচেতনতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, বাদাম, জাম, পপকর্ন, কলমের মাথা, কাঁঠালের বিচি, বরই, বরইয়ের আঁটি, পেরেক, পয়সা—এসব শিশুদের শ্বাসনালিতে আটকে যায়। ইউরোপ-আমেরিকায় আঙুর বেশি খাওয়া হয় বলে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে আঙুরের বিষয় সামনে আনা হয়েছে।’
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের নিবন্ধে ঘটনার শিকার তিনটি শিশুর কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। শিশু তিনটিকে রয়্যাল এবারডিন চিলড্রেনস হাসপাতালের শিশু জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছিল। এদের দুজন মারা যায়। প্রথম শিশুটির বয়স ছিল পাঁচ বছর। স্কুল শেষে আস্ত আঙুর খাওয়ার সময় তার শ্বাসনালিতে তা আটকে গিয়েছিল। আঙুর সরিয়ে ফেলার জন্য দ্রুত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আঙুর সরানো যায়নি। এরই মধ্যে শিশুটির হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে প্যারামেডিক আঙুরটি বের করেন। তবে শিশুটি মারা যায়।
দ্বিতীয় শিশুটির বয়স ছিল ১৭ মাস। সে বাড়িতে স্যান্ডউইচের সঙ্গে ফল খেতে খেতে একটি আঙুর মুখে দেয়। আঙুরটি তার শ্বাসনালিতে আটকে যায়। আঙুরটি বের করার চেষ্টা হয়। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা সফল হননি। জরুরি সেবার জন্য হাসপাতালে ফোন করা হয়। প্যারামেডিকের দ্বারা একসময় আঙুরটি বের করা সম্ভব হয়। কিন্তু ততক্ষণে শিশুটি মারা যায়।
তৃতীয় শিশুটির বয়স ছিল দুই বছর। সে পার্কে বসে আঙুর খাচ্ছিল। তার শ্বাসনালিতে আঙুর আটকে যায়। তখন অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। প্যারামেডিক সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন কী করতে হবে এবং সফলভাবে শ্বাসনালি পরিষ্কার করে ফেলেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই শিশুটিকে দুটো অস্ত্রোপচার করা হয়। এবং হাসপাতালে তার মস্তিষ্ক ও ফুসফুসের জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুরোপুরি সুস্থ করতে তাকে পাঁচ দিন নিবিড় পরিচর্যার মধ্যে রাখা হয়।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, আঙুর শিশুর শ্বাসনালির চেয়ে বড়। আঙুর বাদাম বা অন্য শক্ত বস্তুর মতো না। আঙুর শ্বাসনালিতে ঢুকে শুধু যে শ্বাসনালি একেবারে বন্ধ করে তা না, একে বের করা খুব কঠিন। বিশেষ যন্ত্র ছাড়া বের করা যায় না।
তাতে আরও বলা হয়েছে, শিশুদের খাওয়ার সময় নজর রাখার ব্যাপারে সাধারণ সচেতনতা আছে। ছোট শক্ত বস্তু এবং কিছু খাবার—যেমন বাদাম—মুখে দিলেই তা দ্রুত বের করে আনার চেষ্টা হয়। কিন্তু আঙুরের ব্যাপারে সেই সচেতনতা নেই।

Friday, December 23, 2016

কৃত্রিম স্ত্রী' তৈরি করলো জাপান



জাপানে একাকীত্বে ভোগা পুরুষদের জন্য ভার্চুয়াল ওয়াইফ ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি কৃত্রিম স্ত্রী তৈরি করেছে ভিনক্লু নামে জাপানের একটি প্রযুক্তি কোম্পনি হিকারি নামের এই স্ত্রীকে দেখা যাবে হলোগ্রাফিক পর্দায় এমন কি স্বামী কে টেক্সট মেসেজও পাঠাবে সে বিবিসি জানায় জাপানি অবিবাহিত তরুণদের টার্গেট করে তৈরি করা এই কৃত্রিম স্ত্রী ঘুম থেকে জাগাবে স্বামীকে গুড মর্নিং বলবে।আবহাওয়া কেমন জানাবে ঘরের বাতি জ্বালাবে নেভাবে এসি বন্ধ করবে।স্বামীকে অফিসে যাবার আগে বিদায় জানাবে, এছাড়া স্বামী যখন কফি খাবে তখন তাকেও হলোগ্রাফিক পর্দায় কফি খেতে দেখা যাবে।যখন স্বামী অফিসে কাজ করবে তার ফাঁকে ফাঁকে নানা রকম বার্তাও পাঠাবে হিকারি।শেষে বাড়ি ফিরলে সে স্বামী কে স্বাগত জানাবে,ভার্চুয়াল স্ত্রী হিকারির দাম হবে ২,৭০০ মার্কিন ডলার,যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায়ই দুই লাখ টাকা। আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের শেষ দিকে এটি বাজারে পাওয়া যাবে। তবে, ইতিমধ্যে হিকারিকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কারও কারও মতে, এটা তরুণদের অসামাজিক করে তুলবে। আবার অন্য অনেকের মতে, এটি একাকীত্ব বিষণ্ণতা কাটাতে সহায়ক হবে

SIGNS OF KIDNEY DISEASE


SAVE YOUR KIDNEY

Signs of early kidney damage can develop in more than half the people with diabetes. If left untreated, this could lead to more damage or kidney failure.


During its early course, diabetic nephropathy often has no symptoms. Symptoms can take 5 to 10 years to appear after the kidney damage begins.

You could be in a process of serious kidney damage without being aware of it. There are usually no specific symptoms of kidney disease until the damage is severe. However, if you have diabetes, you should be tested once a year to see if diabetes has affected your kidneys. Your doctor can arrange a urine test for protein (a random urine test for albumin to creatinine ratio and microalbuminuria), and a blood test to check how well your kidneys are functioning (the serum creatinine).

As the kidney function worsens, symptoms may include:

* Swelling of the hands, feet, and face

* Trouble sleeping or concentrating

* Poor appetite

* Nausea and vomiting

* Weakness

* Itching (end-stage kidney disease) and extremely dry skin

* Drowsiness (end-stage kidney disease)

* Abnormalities in the heart's regular rhythm, because of increased potassium in the blood

* Muscle twitching

As kidney damage progresses, your kidneys cannot remove the waste from your blood. The waste then builds up in your body and can reach poisonous levels, a condition known as uremia. People with uremia are often confused or comatose.

Worsening of kidney disease may be slowed, stopped or even reversed if caught very early. It is very important to slow worsening of kidney as the advanced stage of the disease is kidney failure, when the kidney -cannot do its job of filtering harmful wastes from the blood. An individual needs at least one functioning kidney to survive. When kidneys fail, dialysis or a kidney transplant is necessary to stay alive. Kidney disease can progress to kidney failure more quickly among those who have diabetes. The best chance to stop kidney disease from progressing is to recognize it early and start with a treatment course that can slow or stop the decline in kidney function.

Do you have any of the above symptoms? If yes, do check with your doctor if you need any additional tests to be done?

Tuesday, December 20, 2016

স্ট্রোক ও হৃদরোগের কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ যে কোনো সময় মৃত্যুবরণ করতে পারে।

হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত শরীরের অন্যতম অঙ্গটির নাম হৃৎপিণ্ড। আর স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত শরীরের অঙ্গটির নাম মস্তিষ্ক। একজন সুস্থ মানুষের হৃৎপিণ্ড প্রতি মিনিটে ৭২ থেকে ৮০ বার সংকুচিত ও প্রসারিত হয়, যাকে হৃদস্পন্দন বলা হয়।হৃৎপিণ্ড রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সেল বা কোষে ফুসফুস থেকে গৃহীত অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং সেলে উৎপাদিত কার্বন ডাই-অক্সাইড শরীর থেকে ফুসফুসের মাধ্যমে বের করে দেয়।

 জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ড যে প্রকাণ্ড গুরুদায়িত্ব পালন করে, তা অত্যন্ত জটিল ও সূক্ষ্ম। এ প্রকাণ্ড গুরুদায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবনের বিভিন্ন সময় হৃৎপিণ্ডকে বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয় এবং সময়মতো হৃৎপিণ্ডের এসব অসুস্থতার প্রতিকার না হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ যে কোনো সময় মৃত্যুবরণ করতে পারে।

কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিউর ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা পেশির স্বাভাবিক অবস্থার অবনতি ঘটে বলে দক্ষতার সঙ্গে হৃৎপিণ্ড কার্যসম্পাদন করতে পারে না এবং রক্ত সঞ্চালনে বিঘ্ন ঘটে।শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত সঞ্চালন না হওয়ায় সেল বা কোষপুঞ্জি পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টিপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়। হৃৎপিণ্ড থেকে সুষ্ঠুভাবে রক্ত সঞ্চালন না হওয়ার ফলে বিপরীতধর্মী চাপের কারণে ফুসফুস রক্তাধিক্যের কারণে পীড়িত হয় এবং কোষপুঞ্জিতে ফ্লুইড জমে যায়। এ অবস্থাকে বলা হয় ইডিমা।

 হৃদস্পন্দন নিয়মিত রাখার উদ্দেশে হৃৎপিণ্ডে বৈদ্যুতিক স্পন্দনের উৎপত্তি এবং সঞ্চালনে অসঙ্গতির কারণে অ্যারিদ্মিয়া সৃষ্টি হয়। হৃদস্পন্দনের দীর্ঘস্থায়ী অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে রোগীকে পেসমেকার সংযোজনের পরামর্শ দেয়া হয়।হৃদরোগে মৃত্যুর ৫০ শতাংশ হয়ে থাকে হৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার বিভিন্ন রোগের কারণে। রক্ত প্রবাহের আলোড়ন ও প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টির জন্য শিরার অভ্যন্তর ভাগের কোনো অংশ বিনষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ওপর রক্ত জমাট বেঁধে ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে (শিরা সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত) ঢেকে রাখে। বিনষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সুস্থ হয়ে গেলে জমাট বাঁধা রক্ত স্বাভাবিকভাবে দ্রবীভূত হয়ে যায়।হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার অভ্যন্তরে ক্ষত বা প্রদাহ হলে রক্তে অবস্থিত প্ল্যাটিলেট, লিপিড বা চর্বি, কোলেস্টেরল ও আঁশজাতীয় পদার্থ শিরার নিচের স্তর ইন্টিমাকে আক্রমণ করে ও পুঞ্জীভূত হয়। এতে শিরার সংকোচন প্রসারণ ক্ষমতা লোপ পায় এবং শিরা সংকীর্ণ বা সরু হয়ে পড়ে। এ অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার কারণে হৃৎপিণ্ডের কোনো কোনো অংশের কোষপুঞ্জিতে রক্ত প্রবাহ কমে যায়।এ অবস্থাকে ইশকিমিয়া বলা হয়। ইশকিমিয়ার কারণে রোগী কোনো কোনো সময় বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে। একে অ্যানজাইনা বা অ্যানজাইনা পেক্টরিস বলা হয়।

 উপরোক্ত পরিস্থিতির কারণে শিরা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে মাইওকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলা হয়। রক্ত জমাট বাঁধার কারণে শিরার রক্তপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে তাকে করোনারি থ্রোম্বোসিস বলা হয়।এ অবস্থায় রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় বলে হৃৎপিণ্ডের কোনো কোনো অংশে অক্সিজেন সরবরাহের অভাবে কোষ মরে যায়। তখন জমাটকৃত রক্তপিণ্ড দ্রবীভূত করার জন্য ওষুধ প্রয়োগ বা হৃৎপিণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে আবার অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেলুনিং, স্ট্যান্টিং ও বাইপাস সার্জারির প্রয়োজন হয়।

 উচ্চরক্তচাপের ফলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের রক্ত ধমনি বা শিরা-উপশিরার ধ্বংসের কারণে মানুষ মৃত্যুবরণ করতে পারে। উচ্চরক্তচাপের কারণে হৃৎপিণ্ড বা কিডনি ফেল করতে পারে। রক্তচাপ সাধারণত দুই ধরনের। সিস্টোলিক ও ডাইস্টোলিক রক্তচাপ।প্রাপ্তবয়স্কদের সিস্টোলিক ও ডাইস্টোলিক রক্তচাপের স্বাভাবিক সীমা হল যথাক্রমে ১১০-১৪০ এবং ৭০-৯০ মিলিমিটার মার্কারি। তবে ব্যক্তি, সময়, বয়স বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রক্তচাপের মাত্রায় তারতম্য হতে পারে। এ সীমারেখা অতিক্রম করলে তাকে উচ্চরক্তচাপ হিসেবে গণ্য করা হয়। উচ্চরক্তচাপের কারণে রক্তের শিরা-উপশিরা বিদীর্ণ বা ফেটে যেতে পারে অথবা হৃৎপিণ্ড ও কিডনি ফেল করে যেতে পারে।উচ্চরক্তচাপের কারণে স্ট্রোকে মৃত্যুর হারও কম নয়।

উচ্চরক্তচাপের মাত্রা বুঝে এবং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন রোগীর শিরা-উপশিরা বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কোনো ক্ষতি সাধিত হয়েছে কিনা। উচ্চরক্তচাপের অবনতি ঘটানোর পক্ষে কতগুলো সহায়ক কারণ রয়েছে। যেমন- ডায়াবেটিস, অ্যাথেরোমা, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের বেশি মাত্রা, মনস্তাত্ত্বিক সংকট, রিনল বা বৃক্কজনিত কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসার জন্য তাও চিকিৎসককে বিবেচনায় নিতে হয়।

অনেকেই স্ট্রোককে হৃদরোগ মনে করে থাকে। আসলে তা নয়। স্ট্রোক মস্তিষ্কের রোগ। স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।এ প্রতিবন্ধকতার কারণে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মস্তিষ্কের কোনো অংশের কোষ মরে যায়। মস্তিষ্কের শিরা বা উপশিরার কোনো স্থানে রক্তপিণ্ড বা প্লেটিলেট ও ফিব্রিন দ্বারা তৈরি পিণ্ড কর্তৃক রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে উচ্চরক্তচাপের কারণে শিরা বা উপশিরা বিদীর্ণ হয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে। এ অবস্থায় রোগী বেঁচে গেলেও ঠিকভাবে কথা বলতে অসুবিধা হয়, শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, দৃষ্টিশক্তির অবনতি ঘটে, চলাফেরায় অসুবিধা হয় এবং অনুভূতি বিলুপ্ত হয়। হৃদরোগ পৃথিবীর প্রধান ঘাতক রোগ।

 শুধু ওষুধ নয়, হৃদরোগের কারণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ এবং মৃত্যুহার কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।হৃদরোগ প্রতিকারে গত ২০ বছরে বিভিন্ন কার্যকর ওষুধ আবিষ্কারে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ইশকিমিয়া ও মাইওকার্ডিয়াল ইনফার্কশান প্রতিকারে অ্যানজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি বিশ্বজুড়ে সাফল্যজনক চিকিৎসা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। রোগ হয়ে গেলে সুস্থতা বা জীবন রক্ষার জন্য আমাদের প্রতিকার খুঁজতে হয়।অধিকাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও রোগ প্রতিকারের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত চিকিৎসা সব সময় সুফল বয়ে আনে না।

তাই প্রতিকারের চেয়ে রোগ বা রোগের কারণগুলো প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করাই চিকিৎসাশাস্ত্রের মূল লক্ষ্য।তবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই, রোগ বা রোগের কারণগুলো নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই সব রোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে। কারণ বহু রোগের উৎপত্তি অজানা কারণে হয়ে থাকে।

এবার দেখা যাক, আমাদের লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদরোগ ও তার কারণগুলো নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারি।
**  উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও মৃত্যুর অন্যতম কারণ। আপনি কি জানেন, আপনার রক্তের চাপ স্বাভাবিক আছে কিনা? রক্তচাপ স্বাভাবিক না হলে কত বেশি? এসব তথ্য না জানলে দেরি না করে জেনে নিন এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে সচেষ্ট হোন। লাইফস্টাইল, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও ব্যায়ামের মাধ্যমেও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা কমে যায়।

** আপনি হৃদরোগে ভুগলে ধূমপান পরিহার করুন। ধূমপান রক্তচাপের জন্য ক্ষতিকর। উচ্চরক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে সিগারেটের নিকোটিন রক্তের শিরা বা উপশিরার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তবে এটা জোর দিয়ে বলা যাবে না যে, শুধু ধূমপান পরিহার করলে রক্তচাপ কমে যাবে বা হৃদরোগ ভালো হয়ে যাবে।

** শরীরের ওজন ঠিক রাখুন। শরীরের মাত্রাতিরিক্ত ওজনের সঙ্গে হৃদরোগ এবং উচ্চরক্তচাপের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আপনি যদি স্থূলকায় হয়ে থাকেন, কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে শরীরের ওজন কমিয়ে আনুন। বাড়তি ওজন কমিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চরক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসা বাঞ্ছনীয়। শরীরের ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন।চার. জৈব শাকসবজি ও ফলমূল বেশি খাওয়া দরকার। অন্যান্য খাদ্যের মধ্যে থাকতে হবে অর্গানিক ভুসিসমৃদ্ধ শস্য, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের শস্যের বিচি ও তেল। খাসি ও গরুর গোশত যত কম খাওয়া যায়, তত ভালো।প্রোটিনের হিসেবে মাছ ও মুরগির গোশত ভালো।

 ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগ সৃষ্টির সহায়ক বলে তা বর্জন করুন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। কাঁচা লবণ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। অর্গানিক ডিম, দুধ ও দই স্বাস্থ্যকর খাবার। ভিটামিন সি, বিটা কেরোটিন, ভিটামিন ই, সেলেনিয়াম এবং পলিফেনোল শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এসব অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎকৃষ্ট উৎস ফলমূল, শাকসবজি ও সবুজ চা।

** জাঙ্কফুডের পরিহার করুন।এসব খাবারে প্রচুর লবণ চিনি, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটও টাট্টাজিনজাতীয় বিতর্কিত খাদ্যোপকরণ থাকে। জাঙ্কফুডে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও আঁশ কম থাকে। জাঙ্কফুডে প্রচুর চিনি ও চর্বি থাকে বলে এসব খাবার খেলে ওজন বেড়ে যাওয়াসহ উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ ক্যান্সারের মতো বহু জটিল প্রাণঘাতী রোগের উৎপত্তি হয়।

** সুস্থ জীবনের জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। হাঁটা হল সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। বাইরে খোলামেলা জায়গায়, নদীর পাড়ে, গাছপালা ঘেরা পার্ক বা ময়দানে হাঁটলে শরীর-মন দুটিই চাঙ্গা হবে। দূষণমুক্ত বাতাস ও সূর্যের আলোয় হাঁটার চেষ্টা করুন। হাঁটার সময় সঙ্গী-সাথী নিয়ে আলাপ-আলোচনা, খোশগল্প, হাস্যরস, কৌতুক এবং আনন্দ-উল্লাসে অংশ নিন। এতে সারাদিনের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি, অবসাদ ও দুশ্চিন্তা দূর হবে। ব্যায়াম করলে রাতে ভালো ঘুম হয়। আর ঘুম সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। হাঁটা ছাড়াও সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা অথবা জিমনেশিয়ামে ব্যায়াম করা যেতে পারে। কোন ব্যায়াম কার জন্য কতটুকু উপযোগী, তা চিকিৎসক পরামর্শ দিতে পারেন।

** ছয়. দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করুন। স্ট্রোক ও হৃদরোগ নিয়ে খাটাখাটি করবেন তবে সীমা অতিক্রম করবেন না।

** পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং রাতের ঘুম যেন নিরুপদ্রব হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। রাতে ভালো ঘুম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঘুমের ওষুধ খাবেন। কঠোর ব্যায়াম এবং ঘুমে দুঃস্বপ্ন দেখার কারণে উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে অ্যাড্রেনাল গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত অ্যাড্রেনালিন নামে এক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাবে হৃদস্পন্দন অত্যন্ত বেড়ে যায়।হৃদরোগ বিশেষ করে উচ্চরক্তচাপের ক্ষেত্রে এ মাত্রাতিরিক্ত হৃদস্পন্দন তথা অতিমাত্রায় রক্তপ্রবাহের ফলে স্ট্রোক বা হার্টফেল করে রোগী তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুবরণ করতে পারে।

** মনে রাখবেন, ব্যায়াম, জ্বর, উত্তেজনা, দুশ্চিন্তা, চা, কফি বা অ্যালকোহল পানে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। কোনো কোনো ওষুধ সেবনেও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। হৃদরোগ হলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি এর প্রতিকারে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক যথাযথ সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। স্ট্রোক ও হৃদরোগ কোনোটিই একক রোগ নয়। অনেক জটিল কারণে এসবের উৎপত্তি।চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্রমোন্নতি ও বিকাশের ফলে রোগ নির্ণয় ও এর প্রতিকার এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। তারপরও স্ট্রোক ও হৃদরোগীদের সব সময় নিয়মতান্ত্রিক এবং সতর্কতামূলক জীবনযাপন বাঞ্ছনীয়।

** চিকিৎসাবিজ্ঞানে উচ্চরক্তচাপকে সাইলেন্ট কিলার হিসেবে গণ্য করা হয়। ৪০ বয়সোর্ধ্ব সব মানুষের হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।মধ্যবয়সী বা বয়স্কদের নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মস্তিষ্ক ও হার্টের অবস্থা এবং কার্যক্রম, রক্তচাপ, স্ট্রোক ও হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অন্য প্যারামিটারগুলো স্বাভাবিক আছে কিনা, তা জেনে নেয়া উচিত। সময় থাকতেই আপনার হৃদরোগ আছে কিনা, থাকলে কোন পর্যায়ে, তা জানা এবং তার সঠিক চিকিৎসার জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।চিকিৎসকের পরামর্শ হুবহু মেনে চলুন এবং দুশ্চিন্তামুক্ত নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন করুন। দেখবেন, স্ট্রোক ও হৃদরোগ নিয়েও আপনার জীবন অনেক সহজ ও সুন্দর হবে।

অনিয়মিত মিলনে ওভারিয়ান সিস্ট


কীভাবে সিস্ট মোকামেলা করা যায়।


ওভারিয়ান সিস্ট মেয়েদের সবচেয়ে বড় শারীরিক সমস্যা। সিস্ট হল পানিভর্তি ছোট থলি। একাধিক সিস্টকে একত্রে পলিসিস্ট বলা হয়। ওভারি বা ডিম্বাশয় ফিমেল রিপ্রোডাক্টিভ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। ছোট ছোট সিস্ট পুঁতির মালার মতো ওভারি বা ডিম্বাশয়কে ঘিরে রাখে। এই সিস্টের জন্য ওভারির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।


কীভাবে সিস্ট মোকামেলা করা যায়

চিকিৎসকের মতে, অনিয়মিত সেক্স লাইফ, হরমোনের সমস্যা, পিরিয়ড, অল্পবয়সে ঋতুস্রাব হওয়ার কারণে সিস্টের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন নারীরা।এছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে এ সমস্যা শুরু হলেও, দেরিতে বিয়ে, দেরিতে সন্তান নেয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দেয়।ওভারিয়ান সিস্ট নারীর একটি বড় সমস্যা, তবে প্রাথমিক পর্যয়ে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব। তাহলে দেরি কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে সিস্ট মোকামেলা করা যায়।

*  ডায়েট অস্বাস্থ্যকর ডায়েট ও অনিয়মিত লাইফস্টাইল ওভারিয়ান সিস্টের অন্যতম কারণ। ডায়েটে ফল, সবুজ শাক-সবজি, গোটা শস্য জাতীয় খাবার রাখলে সিস্ট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করেন গবেষকরা।

*  হার্বাল উপায় :বেশ কিছু হার্বাল জিনিস এন্ডোক্রিন সিস্টেম সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হরমোনের সঠিক মাত্রা বজায় রাখা, ওভিউলেশন নিয়মিত করতে ও জনন তন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ড্যান্ডেলিয়ন, মিল্ক থিসল ইস্ট্রজেনের সঠিক মাত্রায় সিস্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রয়েছে।

* ওজন নিয়ন্ত্রণ :অতিরিক্ত ওজন ও বিএমআই বেশি হওয়ার কারণেও ওভারিয়ান সিস্টে আক্রান্ত হচ্ছেন নারীরা। মেদ ঝরিয়ে বিএমআফ ২৫ এর নীচে নিয়ে আসতে পারলে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যা অনেকটাই কাটানো যেতে পারে।

* এছাড়া কিছু ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট হরমোনের ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই, ফ্লাক্সসিড অয়েল, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি তার মধ্যে অন্যতম।

Monday, December 19, 2016

জরায়ু ইনফেকশনে করণীয়


জরায়ু ইনফেকশনে অপারেশন করাও লাগতে পারে 

কমবয়সী মহিলাদের (২০-৪০ বছর) জরায়ুর ইনফেকশনের হার বেশি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ (PID) বলে। ৮৫% ক্ষেত্রে সাধারণত স্বাভাবিকভাবে শুধু যৌনবাহিত হয়েই এটি হতে পারে। ১৫% ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে যেমন ডিঅ্যান্ডসি, কপারটি, এন্ডোমেট্রিয়াল বায়োপসি, হিস্টারোসালফিঙ্গোগ্রাফি নামক পরীক্ষার পর জীবাণু সংক্রমিত হয়ে হতে পারে। দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে সাধারনত ২৫ বছরের কম মহিলাদের এবং এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সে হয়ে থাকে।

কাদের ঝুঁকি বেশি : মাসিক হয় এমন অল্পবয়স্ক (reproductive age)-এর মহিলাদের যাদের একাধিক পুরুষ যৌনসঙ্গী আছে, যারা পিল বা কনডম ব্যবহার করেন না, আগে যাদের জরায়ু ইনফেকশন হয়েছে, যারা কপারটি ব্যবহার করেন।

উপসর্গ : তলপেটে ব্যথা, জ্বর, মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তস্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, পুঁজের মতো স্রাব, সহবাসে ব্যথা, মাসিক ছাড়া রক্তস্রাব।

সংক্রমণ পদ্ধতি : সাধারণত গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া, ই. কলাই, স্ট্রেপ্টোকক্কাস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস, ব্যাকটেরয়েডস ইত্যাদি জীবাণু দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে। যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে পুরুষের শুক্রাণু ও ট্রাইকোমোনাড (যা পুরুষের যৌনাঙ্গে থাকে) বাহিত হয়ে জীবাণুগুলো নারীর যৌনাঙ্গে প্রবেশ করে। পরে জীবাণুগুলো জরায়ু, নালী হয়ে ডিম্বাশয়ও আক্রমণ করে। দীর্ঘদিন সংক্রমণ চলতে থাকলে জরায়ু নালী ধ্বংস করে বন্ধ্যত্বও হতে পারে।

রোগ নির্ণয় : জরায়ু মুখের রস, প্রস্রাবের রাস্তায় রস এবং বার্থোলিন গ্ল্যান্ড (মাসিকের রাস্তার মুখে এক ধরনের গ্রন্থি)-এর রস নিয়ে জীবাণু নির্ণয় ও কালচার করে, এছাড়া রক্ত পরীক্ষা, ল্যাপারোস্কোপি, সনোগ্রাফি করে রোগ নির্ণয় সম্ভব।

চিকিৎসা : সংক্রমিত হলে গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী কমপক্ষে ১৪ দিন নিয়মিত এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। রোগটি চরম আকার ধারণ করলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েও চিকিৎসা নিতে হতে পারে। অনেক সময় পেটে খুব বেশি পুঁজ জমে গেলে এবং এন্টিবায়োটিক কাজ না করলে অপারেশন করাও লাগতে পারে।


ফলোআপ : এন্টিবায়োটিক শেষ হওয়ার ৭ দিন পর পুনরায় জরায়ুর রস কালচার করতে হবে এবং পরপর ৩বার মাসিকের পর জরায়ুর রস কালচার পরীক্ষা করে যদি দেখা যায় যে, জীবাণু নেই তাহলে তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ (Cured) বলে ধরে নেয়া যাবে।

জটিলতা : পেটের ভেতর ইনফেকশন ছড়িয়ে গিয়ে ডিম্বনালী ও ডিম্বাশয়ে চাকা হওয়া, পেরিটোনাইটিস ও সেপটিসেমিয়া নামক জটিলতা হতে পারে। একবার সংক্রমিত হলে বন্ধ্যত্ব হওয়ার আশংকা ১২%, দুইবার হলে ২৫% এবং তিনবারের বেশি হলে এই আশংকা ৫০%। ঠিকমতো চিকিৎসা না হলে রোগটি ক্রনিক হতে পারে। সব সময় তলপেটে বা পীঠে ব্যথা বা সহবাসে ব্যথা থেকেই যায়। এদের একটোপিক প্রেগনেন্সি (জরায়ু ছাড়া পেটের ভিতর অন্য জায়গায় বাচ্চা আসার) আশংকা ৬-১০ গুণ বেশি।

প্রতিরোধ : নিরাপদ যৌন সম্পর্ক, কনডম, পিল ব্যবহার, একের অধিক যৌনসঙ্গী না থাকা, সংক্রমিত হলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া, মাসিকের রাস্তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা বিশেষ করে সহবাসের পর।

Friday, December 16, 2016

খাবারে যেসব উপাদান থাকলে সহজেই ঘুম আসে


কোন কোন খাদ্যদ্রব্য ঘুমকে হাতছানি দেয়


আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই তাতেই এমন কিছু দ্রব্য থাকে যা ঘুমকে হাতছানি দেয়৷ আমরা যে খুব সচেতনভাবে তা খাই এমনটা নয়৷ আবার সচেতনভাবে এই দ্রব্যগুলি না খাওয়ার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে মারাত্মকভাবে৷ 

সেজন্য আপনাকে জেনে নিতে হবে কোন কোন খাদ্যদ্রব্য ঘুমকে হাতছানি দেয়৷ তাহলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন৷ সম্প্রতি এ নিয়ে বিস্তারিত সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে খাবারে প্রোটিন, নুনের পরিমাণ বেশি থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ঘুম চলে আসে৷ 

আমেরিকান সংস্থা ‘দ্য স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ পতঙ্গদের উপর এ বিষয়ে বিস্তারিত পরীক্ষা করে৷ তার ফলাফল থেকেই জানা যাচ্ছে প্রোটিন ও লবণের এই বিশেষ গুণের কথা৷ এই খাদ্য উপাদানের মাত্রার উপরই ঘুমের সময়সীমাও নির্ভর করে৷ মূলত এই কারণেই দিবানিদ্রা আসে